এই চাহনীর মধ্যকার অসহায়তা আমি অনুভব করি।
এই চাহনীর মধ্যকার অসহায়তা আমি অনুভব করি। কত গভীর হতাশা, ভয় , অসহায়তার মধ্য দিয়ে সিলেটবাসী পার করছে তা আমি অনুভব করি। ২০০৯ সালে ঠিক এরকমভাবেই টিনের চালে সারাদিন-সারারাত বসে থাকতে হয়েছিল আমার পরিবারের সবাইকে, আমার গ্রামের সবাইকে। চোখের সামনে দিয়ে স্রোতের টানে লাশ ভেসে গেছে, জীবন্ত মানুষ হাসফাস করতে করতে ভেসে গেছে, বুকের সাথে দুধের বাচ্চাকে আটকে ধরে মৃত মা ভেসে গেছে। নব বিবাহিত দম্পতি একে অপরকে বাচাতে গিয়ে দুজনেই ভেসে গেছে। কি ভাসেনাই ! স্বপ্ন ভেসে গেছে।
উপকূলীয় অঞ্চলে থাকার কারনে এরকম বন্যার সাথে আমি খুব ছোটবেলা থেকেই নিবীড়ভাবে পরিচিত, আমরা পরিচিত। সিডর, আইলা, নার্গিস, আম্ফান, অশনী, ইয়াস। কি নেই আমাদের জীবনে !
আমরা বুঝি এই চোখের চাহনী। বোঝেনা তারা যারা কোনদিন এসব বিপর্যয় দেখেনি। এসবের মধ্য দিয়ে যায়নি। সময় তো এখনি নিজেকে মানুষ প্রমান করার।