রাজনীতিসমসাময়িক

ইণ্ডিয়ার Rajnath Singh, Minister of Defence বাংলাদেশের সাথে কোনো সমস্যা চান না বলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

ইণ্ডিয়ার Rajnath Singh, Minister of Defence বাংলাদেশের সাথে কোনো সমস্যা চান না বলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। ওদিকে তার বাহিনী বাংলাদেশের চতুর্দিকে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে যুদ্ধের চরম প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। থিয়েটার পর্যায়ের নিয়মিত মহড়া থেকে যা এখন উপনীত হয়েছে Staging Area স্থাপনের পর্যায়ে।

অথচ এরকম অবস্থায় রাজনাথ সিং অমন নমনীয় সুরে বিপরীতমুখী কথা বলার অর্থ কি! প্রশ্নটির উত্তর হয়তো পাওয়া যেতে পারে Just War এর শিক্ষার মাঝে। যে শিক্ষার দু’টি বিভক্তির প্রথমটি হলো jus ad bellum তথা যুদ্ধ আরম্ভের অধিকার। সেখানে সাতটি ধারা সম্পর্কে পড়ানো হয়ে থাকে। যার শুরুর ধারাটির নাম Just Cause।

০১|

Just Cause এর চাহিদা হলো, যুদ্ধ শুরুর পেছনে নীতিগত পর্যায় হতে বৈধ কারণ থাকতে হবে। নিজ দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের নিরাপত্তা যেখানে বেশ শক্তিশালী অবস্থান রাখে। পাশাপাশি আরেকটি কারণও সেখানে শক্তিশালী অবস্থান রাখে। তা হলো, নিরপরাধ ও অসহায়কে নিপীড়ন হতে রক্ষা।

০২|

যুদ্ধে জড়ানোর নির্দেশ Legitimate Authority থেকে জারি হতে হবে। ইণ্ডিয়ার জন্য যা কোনো সমস্যা নয় বলে অনুমান করা যায়।

০৩|

Public Declaration হলো ৩য় ধারা। যেখানে আগ্রাসনের শিকার হতে চলা পক্ষকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। যদিও আল্টিমেটামকে এখানে রাখার কারণ যুদ্ধকে বৈধতা দেওয়া নয়, বরং যুদ্ধের বিপরীতে Diplomacy কে জায়গা করে দেওয়া, তবে যুদ্ধে গমনের বিষয়ে দৃঢ়চিত্ত আগ্রাসী শক্তি ধারাটিকে স্রেফ তার যুদ্ধকে বৈধতা দেওয়ার লক্ষ্যে ব্যবহার করতে পারে।

০৪|

তার পরের পর্বে চলে আসে Just Intent। যা আসলে চরম আগ্রাসী মানসিকতার অস্বাভাবিক মাত্রার শক্তিশালী শত্রুর কাছে তেমন গুরুত্ব রাখে না।

আন্তর্জাতিক নীতি আমাদের শিক্ষা দেয় যে, যুদ্ধ হতে হবে ultima ratio। অর্থ হলো, যুদ্ধে যাওয়ার আগে নিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক বৈধতা বা সমর্থন পাওয়ার জন্য আগ্রাসী পক্ষ হতে পৃথিবীকে নিশ্চিত করতে হবে যে, তার পক্ষ হতে কূটনৈতিক ও আরো নানান পথে পরিচালিত সকল চেষ্টা বিফলে গিয়েছে।

তার বাহিরে মিলিটারি সিনিয়র লিডারদের কাছে বিশেষ করে সর্বশেষ যে বিষয়টি আলোচ্য বিষয়ে সর্বাধিক মূল্য রাখে তা হলো, সফল হওয়ার সম্ভাবনা কতখানি? যদি এই প্রশ্নে আগমনের পর কোনো পক্ষ তার ওপর আগ্রাসনে আগ্রহী শত্রুপক্ষের সামরিক নীতিনির্ধারকদের দ্বিধায় ফেলে দিতে পারে, তাহলে বাকি ০৬টি ধারা ওখানে আপনা-আপনি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ার বেশ জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। International System এর মাঝেও বিষয়টির অসামান্য গুরুত্ব রয়েছে। কারণ, অনিশ্চিত ফলাফল কারো পছন্দ নয়। এমন কোনো যুদ্ধও কেউ পছন্দ করে না, যার সামর্থ্য আছে আঞ্চলিক বা বৈশ্বিক পরিবেশে চরম পরিবর্তন ঘটিয়ে দেওয়ার।

কিন্তু, রাশিয়ার পক্ষ হতে ইঊক্রেনে পরিচালিত আগ্রাসন ও তারপর Israel Defense Forces এর পক্ষ হতে গাজা ঊপত্যকা, সিরিয়া, ইরান ও এমনকি কাতারে পরিচালিত অভিযান ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক নিয়মের মাঝে নাটকীয় পরিবর্তনের সূচনা করেছে। ফলে, ইণ্ডিয়া যদি বাংলাদেশকে নিয়ে সামরিক পদক্ষেপের পথে ধাবিত হয়, সেখানে ওদের সেভাবে আন্তর্জাতিক চাপ হজম করতে নাও হতে পারে।

বিশেষ করে ওদের লক্ষ্য যদি হয় বাংলাদেশকে দখল করা নয়, বরঞ্চ আমাদের মাটির কিছু অংশ বিচ্ছিন্ন করে নেওয়া। ওদের বর্তমান গতিবিধি যেদিকে জোরালো ইঙ্গিত দিয়ে চলেছে। শিলিগুড়ি করিডোর এমন একটি কৌশলগত স্থান, যাকে ব্যবহার করে বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিবেশে যুদ্ধে যাওয়ার বৈধতা তৈরি করা সম্ভব।

ধন্যবাদ।

ফেসবুক পোস্ট

Hi, I’m Revan M

self-proclaimed defence analyst. tracking conflict in SA, MENA & Eastern Europe. Muslim. Fairbanks, Alaska

Leave a Reply